কবিতা
মেঘদূত
শুকনো দুপুর, আকাশ কোণে
গুচ্ছ কিছু শুভ্র ফুল
এদিক ওদিক রঙের ছোঁয়া
আমার মনে মলিন ধুল্।
ঘুলঘুলিতে দুষ্টু চড়াই
কিচির মিচির থামছে না
অলস হাওয়ায় গহীন মনের
বিষাদ-জ্বর ও নামছে না।
হঠাৎ কখন ইচ্ছাসুখে
মেঘবলয়ে বৃষ্টিপাত
রঙধনুকে সাক্ষী রেখে
দু:খগুলো কুপোকাত!
বঙ্গাব্দ ১৪১৬
চৈত্র মাসের তপ্ত ভাঁপে
পুরলো প্রহর, বর্ষ এলো
কাল বোশেখী-র নুতন সূরুয
হুল্লুরী বা’য় হর্ষ এলো।
বর্ষ নবীন করবো বরণ
পান্তাভাত আর ইলিশ ভাঁজা
ইলশে গুড়ি বৃষ্টি নামুক
রৌদ্র গরম তনু ঝাঁঝা
হলদে শাড়ি আলতা রাঙা
বাঙালি আজ সাঁজ পড়েছে,
ঢাকে ঢোলে কোরাস গীতি
আজকে টনক যাক নড়েছে!
শঙ্খচিল
মনের কোণে হুতাশ আমার
থাকুক, স্বীকার করবো না
দু-ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ুক
ব্যথায় আমি মরবো না।
ভোরের কিরণ দুর্বা ঘাসে
শিশির ফোঁটা, ভ্রান্তি কই
চাঁদনী রাতে শতেক জোনাক
জ্বলুক, আমার ক্লান্তি কই
লগন এলে সারস নীড়ে
ফিরুক, আমার নেই মানা
শঙ্খচিলের সঙ্গী আমি
একলা চলি নেই ডাঙা।
বৃষ্টিবিন্দু
বৃষ্টি পড়ে ঝুমুর ঝুমুর
মেঘের ফাঁকে বজ্রপাত
তোমার পায়ে আলতা নূপূর
করলে আমার মনটি মাৎ!
মনের খেয়াল বেখেয়ালী
উথাল পাথাল ছত্রাকার
আকাশ জোড়া মেঘের মতো
শতেক হাজার রঙ-বাহার!
রঙতামাশা বলুক লোকে
তুমি আমার অষ্টাশ্রম
বৃষ্টি পড়ে ঝুমুর ঝুমুর
হায়রে এ-কি ভ্রান্তি-ভ্রম!